প্রাণিসম্পদ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে বিশেষ করে খামারে গবাদি প্রাণি ও হাঁস-মুরগি প্রতিপালন। বাংলাদেশে গবাদি প্রাণির মধ্যে উল্লেখযোগ্য গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া। এগুলো যেকোন দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ, কারণ এসব প্রাণি কৃষি কার্যক্রমসহ বিভিন্ন কাজে চালিকা শক্তি (draft), চামড়া, ও সারের যোগান দেয় এবং জনসংখ্যার বৃহৎ অংশের জন্য মাংস ও দুধের প্রধান উৎস। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পালিত প্রাণিসম্পদের ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
প্রাণি সম্পদের কিছু কার্যক্রম:
১. প্রাণি-পাখির জাত উন্নয়নে কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম জোরদারকরণ এবং দেশী উন্নত জাতগুলো সংরক্ষণ।
২. উন্নত ঘাস চাষ সম্প্রসারণ ও প্রাণি-পাখির খাদ্য প্রস্ত্ততকারী কারখানা স্থাপনে উৎসাহ প্রদান।
৩. প্রাণি-পাখির টিকা উৎপাদন, প্রদান ও চিকিৎসা ব্যবস্থার সম্প্রসারণ।
৪. উন্নত খামার ব্যবস্থাপনায় কৃষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান।
৫. নতুন খামার স্থাপনে বেসরকারি খাতকে উৎসাহ প্রদান এবং প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহের নিশ্চয়তা বিধান।
৬. প্রাণি খাদ্য ও প্রাণি চিকিৎসা সামগ্রীর মূল্য কৃষকদের ক্রয়সীমার মধ্যে রাখার জন্য ভর্তুকি প্রদান।
৭. প্রাণি-পাখির উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কাজে বেসরকারি সংস্থাসমূহকে সম্পৃক্তকরণ।
৮. প্রাণি-পাখি সংক্রান্ত গবেষণায় অগ্রাধিকার প্রদান।
৯. প্রাণি-পাখিজাত পণ্য সামগ্রীর সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিবহন ও বাজারজাতকরণে বিশেষ সুবিধা প্রদান।
১০. সহজ শর্তে এবং অল্প সুদে প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ প্রদানের নিশ্চয়তা বিধান।
১১. প্রাণি-পাখির উন্নয়নে সরকারি খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধিকরণ।
১২. ভূমিহীন কৃষক ও গ্রামীণ মহিলাদের জন্যে প্রাণি-পাখি প্রতিপালনের বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ।
এছাড়া বাংলাদেশে বর্তমানে কৃষি তথ্য সার্ভিসের বাংলা ওয়েব সাইটে আপনাদের কৃষি তথ্য সম্পর্কে বিভিন্ন কৃষি তথ্য প্রদান করে তাকে। তাছারা কৃষি তথ্য সম্পর্কে যে কেউ তথ্য গ্রহন করতে পারে ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্র বা উপজেলা কৃষি অফিস থেকে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস